"মুক্তি বাঁচতে চায়, কিন্তু কেমোর টাকাই নেই!" ক্লিনিক থেকে ইনফেকশন, আজ ক্যান্সারে মরণাপন্ন"

“মুক্তি বাঁচতে চায়, কিন্তু কেমোর টাকাই নেই!” ক্লিনিক থেকে ইনফেকশন, আজ ক্যান্সারে মরণাপন্ন”

সাইফুল ইসলাম-

“মুক্তি বাঁচতে চায়, কিন্তু কেমোর টাকাই নেই!” ক্লিনিক থেকে ইনফেকশন, আজ ক্যান্সারে মরণাপন্ন”। ঝিনাইদহ শহরের গোপীনাথপুর বাউরের পাশে একটি ছোট্ট ঘরে মরণাপন্ন অবস্থায় পড়ে আছেন মুক্তি বেগম (৪৫)। ক্যান্সারে আক্রান্ত এই নারীর চোখে এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই, শুধু মৃত্যুর অপেক্ষা। একদিকে দুরারোগ্য ব্যাধি, অন্যদিকে অভাব-অনটন। অর্থের অভাবে থেমে গেছে তার চিকিৎসা।

মুক্তি বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন খোকন নিজেও একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী, কোনো কাজ করতে পারেন না। সংসারের হাল ধরেছে তাদের ১৫ বছরের বড় ছেলে, যে এক সময় ঝিনাইদহ মল্লিক কলেজে পড়ত। অভাবের তাড়নায় লেখাপড়া ছেড়ে এখন সে দিনমজুরের কাজ করছে। ছোট ছেলের বয়স মাত্র ৭ বছর, এখনও স্কুলে যায়। একমাত্র মেয়েটির বিয়ে হয়েছে, সে স্বামীর সংসারে।

মুক্তির মেয়ে নদীয়া খাতুন জানান, ডাক্তাররা তার মাকে ৭টি কেমোথেরাপি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিটি কেমোতে খরচ পড়বে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা করে। এতো টাকা তারা কোথা থেকে জোগাড় করবেন সে চিন্তায় দিশেহারা পরিবারটি। নদীয়ার বিশ্বাস, ‘কেমোথেরাপি দিলে হয়তো আমার মা আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারতেন, ইনশাআল্লাহ।’

তাদের নিজের বলতে শুধু একটি ভাঙাচোরা ঘর, সেটিও মাত্র ১ শতক জমির উপর। নেই জমিজমা, নেই স্থায়ী আয়ের কোনো উৎস।

এ ছাড়াও, পরিবারের দাবি, এক বছর আগে ঝিনাইদহের আলোচিত তাসলীমা ক্লিনিকে একটি সাধারণ জরায়ু অপারেশনের পর থেকেই মুক্তি বেগমের শারীরিক জটিলতা শুরু হয়। সেই অপারেশন থেকেই ইনফেকশন ছড়ায় এবং পরবর্তীতে ক্যান্সারে রূপ নেয়। পরবর্তীতে তারা যখন আবার ক্লিনিকে যান, তখন তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তার পরিবারের ।

মুক্তি বেগম দুই মাস আগে ঝিনাইদহ সমাজসেবা অফিসে ক্যান্সার রোগী হিসেবে সাহায্যের আবেদন করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।

এখন একটিই প্রার্থনা মানবিক সহানুভূতি নিয়ে যেন কেউ তার পাশে দাঁড়ান। একটু সাহায্যই হয়তো তাকে আরও কিছুদিন বাঁচার সুযোগ করে দিতে পারে। মুক্তি বেগমের চিকিৎসা ও সংসারের খরচ চালাতে আপনিও এগিয়ে আসুন।

সাহায্য পাঠাতে পারেন এই বিকাশ নাম্বারে: ০১৭৮৫-৩০৬৫৮৪ (নাম: আনোয়ার হোসেন খোকন)

আপনার সামান্য সহায়তাই হতে পারে একটি পরিবারের জন্য বেঁচে থাকার নতুন আশার আলো।

Scroll to Top