ডেস্ক রিপোর্ট
কালীগঞ্জের সাবেক ইউএনও সাদিয়া জেরিনের পরকীয়া দাবি করে ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । কালীগঞ্জের সাবেক ইউএনও সাদিয়া জেরিনের ছবি ভাইরাল করে পরকীয়ার দাবি করছেন অনেকেই। তাদের এ দাবির সত্যতা ঝিনেদার কাগজ খুজে পাই নাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই দাবি করছেন নারী কেলেংকারী একটা শেষ না হতেই আরেকটা সামনে এলো ডিসি আশরাফ উদ্দীনের। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সাবেক ইউএনও বর্তমান শরিয়তপুরের এডিসি সাদিয়া জেরিনের সঙ্গেও ডিসি আশরাফ উদ্দিনের সম্পর্ক ছিল বলে সামাজিক মাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে এমনটাই দাবি করছেন অনেকে।
শরিয়তপুরের ডিসি আশরাফ উদ্দিন গত নভেম্বরে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান। তাদের দাবি ছবিতে যে নারীকে দেখছেন, ডিসি যাকে কোলে তুলেছিল তিনি প্রথম দাবি করা পরকীয়ার নারী।
লাল কালারের ড্রেস পরিহিত এই নারীকে (ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যাচ্ছে তাকে) সাদিয়া জেরিন বলে দবি করছেন অনেকেই। কিন্তু কালীগঞ্জের অনেকেই তাকে ছাদিয়া জেরিন বলে মনে করছে না। তারা বলেন, ছাদিয়া জেরিন দেখতে আরো ক্ষর্বকায়। চেহারার সাথে মিলে না। তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতই তার ছবি ভাইরাল করা হচ্ছে।
তাদের দাবি ডিসি আশরাফ উদ্দিনের শরিয়তপুরের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক সাদিয়া জেরিন ছাড়াও একাধিক নারীর সাথে ঘনিষ্টতা ছিল ।
সাদিয়া জেরিনও গত নভেম্বরে শরিয়তপুরে নিয়োগ পান। জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এই দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
খুব অল্প সময় শরিয়তপুরে ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ারও অভিযোগ উঠেছে ডিসি আশরাফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
২০২১ সালের ৭ জুলাই কালীগঞ্জ উপজেলায় নতুন ইউএনও হিসাবে যোগদান করেন সাদিয়া জেরিন। তিনি কুষ্টিয়া ডিসি অফিসের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায়, শরী
য়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করেছে সরকার। শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপসচিব) হিসেবে বদলি পূর্বক পদায়ন করা হলো।
এর আগে নারী কেলেঙ্কারির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর কর্মক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে যান শরীয়তপুরের ডিসি। গত শুক্রবার থেকে তিনি শরীয়তপুর জেলায় নেই।
এ বিষয়ে জানতে চা
ইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাসুদুল আলম বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে ডিসি স্যার শরীয়তপুর জেলায় নেই। কোথায় গেছেন জানি না।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এডিসি সার্বিক বলতে পারবেন। তাকে জিজ্ঞাসা করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, শুক্রবার বিকেলে স্যার অফিস শেষে বাসায় ফিরেছেন। তবে এখন তিনি শরীয়তপুরে নেই। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।
এ বিষয়ে জানতে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সরকারি মুঠোফোন নম্বরে ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।