নিজস্ব প্রতিবেদক
ভুয়া অভিযোগ ও চক্রান্তের শিকার, কালীগঞ্জের এক শিক্ষার্থীর মানহানি ও চার শিক্ষকের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাদিরকোল আদর্শ দাখিল মাদরাসাকে ঘিরে সম্প্রতি একটি ভুয়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে “নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে মাদরাসা সহকারী সুপারের প্রেম” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি নিয়ে এখন উঠেছে নানা প্রশ্ন। অভিযোগটি যে জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রমূলক, তার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার এবং অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের বক্তব্যে।
ঘটনার সূত্রপাত একটি লিখিত অভিযোগকে কেন্দ্র করে, যা শিক্ষার্থীর পিতার নামে মাদরাসার সভাপতির কাছে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, সেই অভিযোগ তারা নিজেরা লেখেনি বরং প্রতিষ্ঠানের চারজন শিক্ষক—সহকারী শিক্ষক মজনু, সহকারী শিক্ষক হুমায়ুন কবির, কেরানি আলম এবং আরেকজন—শিক্ষার্থীর পিতাকে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক একটি পূর্বলিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের মধ্যে মীমাংসা হয়। শিক্ষার্থীর পিতা অভিযোগপত্র প্রত্যাহার করে নিতে চাইলেও প্রতিষ্ঠান তা গ্রহণ না করে উল্টো গণমাধ্যমে সরবরাহ করে, যা শিক্ষার্থীর মানহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়ে এবং পরিবারটি চরম সামাজিক লজ্জা ও অবজ্ঞার শিকার হয়।
শিক্ষার্থীর পরিবার আরও জানায়, ওই রাতেই অভিযুক্ত চার শিক্ষক ভুক্তভোগী পিতাকে জোর করে একটি সাক্ষাৎকার দিতে বাধ্য করে এবং তার ভিডিও রেকর্ড করে রাখে, যা পরিকল্পিত ও পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ ছিল। শিক্ষার্থীর পিতা বলেন, “আমি অশিক্ষিত মানুষ, পড়তে পারি না। তারা যা বলেছে তাই স্বাক্ষর করেছি। পরে বুঝেছি যে এটা আমার মেয়ের ও আমাদের পরিবারের জন্য কত বড় সর্বনাশ হয়ে গেছে।”
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীর পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষক চার শিক্ষককে চক্রান্তকারী হিসেবে দায়ী করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মহল এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।