এসিল্যান্ড শাহীন আলম

ভূমি সেবায় নবজাগরণ: কালীগঞ্জে এক বছরে ১৩ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করলেন এসিল্যান্ড শাহীন আলম

মো. মাসুদ রানা,  কালীগঞ্জ 

ভূমি সেবায় নবজাগরণ: কালীগঞ্জে এক বছরে ১৩ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করলেন এসিল্যান্ড শাহীন আলম। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন আলম এক বছরে ১৩ হাজারের বেশি নামজারি ও মিসকেস মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।

সরকার নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই অধিকাংশ নামজারি নিষ্পত্তি এবং ১০ বছর ধরে ঝুলে থাকা এক হাজারেরও বেশি মিসকেস মামলা সমাধান করেছেন তিনি। স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও সেবাবান্ধব ব্যবহারে উপজেলাবাসীর মধ্যে আস্থা অর্জন করেছেন এই তরুণ কর্মকর্তা।

২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল এসিল্যান্ড হিসেবে কালীগঞ্জে যোগদানের পর পুরো অফিসের চিত্র পাল্টে দেন মো. শাহীন আলম। ৩৮তম বিসিএস কর্মকর্তা হিসেবে এটি তার প্রথম কর্মস্থল।
নামজারি নিষ্পত্তির সরকার নির্ধারিত সময়সীমা ২৮ দিন এবং মিসকেসের ক্ষেত্রে ৯০ দিন হলেও অনেক মামলাই নির্ধারিত সময়ের আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপন, দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে কঠোর অবস্থান, সেবাগ্রহীতার আবেদন ও শুনানিতে সরাসরি উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, অফিসের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, পাবলিক টয়লেট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে খুলনা বিভাগের ভূমি সেবার দপ্তরগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান লাভ করে কালীগঞ্জ ভূমি অফিস।
তরুণদের জন্য ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও একাডেমিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছেন শাহীন আলম।
জনগণের হয়রানি কমাতে অফিসের প্রতিটি কক্ষে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা এবং দায়িত্বে গাফিলতির জন্য নেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা।

নামজারির ফি ও সময় নিয়ে পূর্বের অভিজ্ঞতা থাকলেও এখন তা অনেকটাই সহজ হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
দালালদের দৌরাত্ম্য কমলেও জনগণের সচেতনতার অভাব এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোও পরিদর্শন করে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলাকে ভূমি সেবার এক উজ্জ্বল রোল মডেলে রূপান্তরিত করেছেন মো. শাহীন আলম। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও নেতৃত্ব ভূমি সেবাকে করেছে জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও কার্যকর

Scroll to Top