শেখ জিল্লুর রহমান
এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ মল্লিকপুরের বটগাছ, যা ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের বেথুলী মৌজায় অবস্থিত, এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এবং প্রাচীন বটগাছ হিসেবে পরিচিত। এই গাছটি প্রায় ১১ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত এবং এটি ৫২টি ভিন্ন আকারের বটগাছের মতো দেখালেও মূলত একটি গাছের শাখা-প্রশাখা। গাছটির উচ্চতা আনুমানিক ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট এবং এটি প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ বছর পুরনো বলে ধারণা করা হয় ।
এই বটগাছটি স্থানীয়ভাবে “সুইতলার বটগাছ“, “মল্লিকপুর বটগাছ” বা “বেথুলীর বটগাছ” নামে পরিচিত। ১৯৮৪ সালে বিবিসির এক জরিপে এটিকে এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ।

কিভাবে যাবেন:
-
ঢাকা থেকে: গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে রয়েল, জেআর, সোনার তরী, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স ও এসবি পরিবহনের এসি বা নন-এসি বাসে সরাসরি ঝিনাইদহে যাওয়া যায়। টিকিটের মূল্য সাধারণত ৬৫০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে।
-
ঝিনাইদহ থেকে: ঝিনাইদহ শহর থেকে কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে সেখান থেকে অটোরিকশা বা সিএনজিতে করে সুইতলা মল্লিকপুর গ্রামের ঐতিহাসিক বটগাছ এলাকায় পৌঁছানো যায়।
-
কালীগঞ্জে: নলডাঙ্গা রাজবাড়ি রিসোর্ট সহ বেশ কিছু স্থানীয় হোটেল পাওয়া যায়।
-
ঝিনাইদহ শহরে: হোটেল ড্রিম ইন্টারন্যাশনাল (প্রতি রাত ৭০০-১৫০০ টাকা) ও হোটেল কুটুম (প্রতি রাত ৫০০-৮০০ টাকা) সহ আরও কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে ।
কি খাবেন:
মল্লিকপুর যাওয়ার পথে কালীগঞ্জ অঞ্চলে ধানসিঁড়ি, সবুজ বাংলা রেস্টুরেন্ট, রয় সুইটস ইত্যাদি মানসম্পন্ন রেস্টুরেন্ট রয়েছে। ঝিনাইদহ শহরে আহার, ফুড সাফারি, সুইট ও ঘরোয়া রেস্টুরেন্টে খাবার গ্রহণ করতে পারেন। সেই সাথে ঘোষ-এর তৈরি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, পায়রা চত্ত্বরের ছানা ও বিশেষ ছানার জিলাপি একবার হলেও চেখে দেখা উচিত।
এই বটগাছের নিচে হাঁটলে মনে হয় আপনি যেন একটি বনভূমির মধ্যে আছেন, কারণ এর শত শত প্রোপ (prop) শিকড় মাটিতে গিয়ে নতুন কাণ্ডের মতো দেখায়।
লেখক: সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক
এই ঐতিহাসিক বটগাছটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এবং তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে, আপনি নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন: