মো. জাহাঙ্গীর আলম, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ):
কোটচাঁদপুরে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে, সরেজমিনে দেখা গেছে ডালা কাটা ১৫টি মেহগনি ও ভাটাম গাছ, ভূমি অফিসের হস্তক্ষেপে বন্ধ কাজ। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের বিশ্বাসপাড়া মাঠ এলাকায় সরকারি রাস্তার দু’পাশের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে আব্দুল ওহাব গত মঙ্গলবার থেকে রাস্তার পাশে থাকা বেশ কয়েকটি মেহগনি ও ভাটাম গাছ কেটে ফেলেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ধারে প্রায় ১৫টি গাছের ডালা কাটা হয়েছে এবং কিছু গাছের কান্ডের প্রায় অর্ধেক কেটে ফেলা হয়েছে। কাটা ডাল ও কাঠ রাস্তার পাশে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
গাছ কাটার শ্রমিকরা জানান, “গাছগুলো সরকারি। আমরা শুধু ডালা কাটছি, গাছ কাটি নাই। আমগাছের ওপর ডালা উঠে গেছে, তাই ওহাব সাহেব কাটতে বলেছেন।”
তবে অর্ধেক কেটে ফেলার কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি।
অভিযুক্ত আব্দুল ওহাব দাবি করেন, “গাছগুলো আমার জমির মধ্যে পড়েছে এবং আমি নিজেই লাগিয়েছি। তাই কেটেছি।”
অন্যদিকে দোড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব জাকির হোসেন বলেন,
“গাছ কাটার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। সরকারি জমি চিহ্নিত করতে সার্ভেয়ার পাঠানো হবে। জমি মেপে দেখা যাবে গাছগুলো সরকারি জায়গায় কিনা—এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পরে আব্দুল ওহাব আবারও জানান,
“দুইটি গাছ ছাড়া বাকি গাছগুলো আমার নিজস্ব জমিতে। যদি ভূমি অফিস মেপে প্রমাণ করে গাছ সরকারি জায়গায়, তাহলে গাছের ৪০ ভাগ দাম পরিশোধ করব।”
স্থানীয়রা জানান, এর আগেও ওহাব দুটি গাছ কেটেছিলেন; তখন এসিল্যান্ড অফিস ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই গাছগুলো জব্দ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত সরকারি জমি নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।