ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আত্মপ্রকাশ

ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আত্মপ্রকাশ-রেললাইন থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ঝিনাইদহের উন্নয়ন স্বপ্নে একতাবদ্ধ জনতা

সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহ-

ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আত্মপ্রকাশ। “ঝিনাইদহের উন্নয়নে, আমরা সবাই একসাথে”—এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে আত্মপ্রকাশ করলো ‘ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি’। জেলার সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রস্তাবনা ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনমত গঠন ও দাবি আদায়ের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে শহরের আহার রেস্টুরেন্টের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম।

সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল বাশার-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মুস্তাফিজুর রহমান,

নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, ঢাকা-এর ডা. শফিউল আলম সোহাগ,বিজিএমইএ’র সদস্য প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম,যশোর শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলার প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন,অধ্যাপক ডা. হাসানুজ্জামান,ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল,বিশিষ্ট সমাজ সংগঠক গাউস মোহাম্মদ গোর্কি,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন,গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. মার্ফিয়া খাতুন প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে চিকিৎসা বিষয়ক ডিজিটাল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন দিপু।

শিক্ষা বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিটির শিক্ষা সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন এবং “ক্লীন ঝিনাইদহ” বিষয়ক উপস্থাপনা দেন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল বাশার।

বক্তারা বলেন, ঝিনাইদহ একটি উর্বর ও সম্ভাবনাময় জনপদ হলেও, দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। এ জেলার মানুষ পরিশ্রমী, প্রতিভাবান, কিন্তু সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি রয়েছে চরমভাবে।

তারা আরও বলেন, দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ঝিনাইদহকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আনতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ জরুরি। পদ্মাসেতু রেললাইন প্রকল্পকে মাগুরা থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা সময়ের দাবি।

তিনটি প্রধান দাবি উঠে আসে অনুষ্ঠানে: মাগুরা-ঝিনাইদহ ফোর লেন সড়ক নির্মাণ, সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা,কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন

এই দাবিগুলোর বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব, জনপ্রশাসন ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার ওপর জোর দেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, উদ্যোক্তা, চাকরিজীবী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সকলের কণ্ঠে ছিল একটাই সুর—”উন্নয়ন চাই, অবহেলা নয়। অধিকার চাই, অনুকম্পা নয়।

Scroll to Top