F-16 Block 52 বনাম Su-30MKI, আকাশযুদ্ধে কে কাকে হারাতে পারে?” 

ডেক্স রিপোর্ট:

F-16 Block 52 বনাম Su-30MKI, আকাশযুদ্ধে কে কাকে হারাতে পারে?”  আধুনিক যুদ্ধের সবচেয়ে নির্মম অংশটা হয় দেখা না যাওয়া শত্রুর বিরুদ্ধে। শত্রুর চোখে পড়ার আগেই যদি তাকে shoot down করা যায়, সেটাই আসল কৌশল। এই খেলার নাম – Beyond Visual Range (BVR) Air Combat।

আজ আমরা যাচাই করব, যদি আকাশে মুখোমুখি হয় পাকিস্তানের F-16C/D Block 52 এবং ভারতের সর্বশেষ আপগ্রেডেড Su-30MKI, তাহলে BVR লড়াইয়ে কে এগিয়ে থাকবে।

F-16 Block 52 – হালকা শিকারি, কিন্তু শিকার সে-ই বেছে নেয় ।

পাকিস্তানের এই মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলোতে রয়েছে AN/APG-68(V)9 radar, ALQ-211 AIDEWS (Electronic Warfare), আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র – AIM-120C-5 AMRAAM।

এই F-16 গুলোর Radar Cross Section (RCS) অত্যন্ত কম – ফলে শত্রু রাডারে এগুলো অনেক দেরিতে ধরা পড়ে। এদের মূল কৌশল হলো – detect first, shoot first, escape fast।

তাদেরকে সাহায্য করে Saab 2000 Erieye AEW&C – একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আকাশে উড়তে থাকা radar system, যেটা F-16 কে long-range target cueing দেয়।

Su-30MKI – ভারী প্ল্যাটফর্ম, তবুও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি lethal

ভারতের Su-30MKI এখন শুধু রাশিয়ান প্রযুক্তি নয় – এতে যুক্ত হয়েছে ইসরায়েলি SDR, উন্নত jammer, Astra Mk1 missile, এবং IAF-এর নিজস্ব Network-Centric Warfare system।

Su-30MKI বর্তমানে DRDO Netra Mk1.5 AEW&C এবং Phalcon AWACS–এর সাথে সমন্বয়ে operate করে। কিন্তু এই বিশাল বিমানটির একটি সমস্যা হলো, RCS অনেক বেশি – প্রায় ১০–১২ m², ফলে শত্রু radar এটিকে অনেক দূর থেকেই detect করতে পারে।

BVR ফেইজ – বাস্তব যুদ্ধ কেমন হয়?

ধরা যাক, দু’টি দল ২৫,০০০–৩০,০০০ ফুট উচ্চতায় patrol করছে। পাকিস্তান ফোর্সের F-16 গুলো Erieye থেকে long-range track পায় Su-30 এর অবস্থান সম্পর্কে। তারা ম্যানুয়াল রাডার অন না করে passive ভাবে Erieye-এর তথ্য ব্যবহার করছে – ফলে নিজেরা রাডার emission না করেও শত্রুর অবস্থান জানছে।

এদিকে ভারতীয় Su-30 পাইলটরা Netra থেকে cue পাচ্ছে, তবে তারা বিশাল আকৃতির জন্য আগেই শত্রুর radar scope-এ ঢুকে গেছে।

এখন F-16 এক বা দুইটি AIM-120C-5 launch করে প্রায় ৮০–৯০ কিমি দূর থেকে।

Su-30 পাইলট তখন জানে তারা টার্গেট হয়েছে, কারণ তাদের Radar Warning Receiver (RWR) পিং করছে। এখন তারা কি করবে?

১. ডেকয় ফেলে, hard maneuver করে missile evade করবে?

২. নিচে নেমে যাবে radar coverage থেকে বাইরে যাওয়ার জন্য?

৩. না কি নিজের Astra launch করবে ৬০–৭০ কিমি দূর থেকে?

এখানেই সমস্যা। Su-30 এর Astra Mk1 missile এর actual NEZ (No Escape Zone) AMRAAM-এর মতো শক্তিশালী না – ফলে তারা হয়তো shot ছুঁড়বে, কিন্তু সেটা guaranteed kill নয়।

তাছাড়া, Su-30 যতই jammer ব্যবহার করুক, তার বিশাল গঠন এবং বেশি thermal signature missile-এর জন্য সহজ target।

AMRAAM vs Astra Mk1 – বাস্তব দৌড়ে কে কাকে পাবে আগে?

AMRAAM C-5 হলো battle-tested, বহুবার শত্রু বিমান shoot down করেছে। এটি মাঝপথে AEW&C অথবা F-16 থেকে ডেটা আপডেট পায়, ফলে mid-course correction এ অনেক বেশি নির্ভুল।

Astra Mk1 নতুন – DRDO এটিকে সফলভাবে test করলেও এখনো কোন real combat record নেই। mid-course guidance এখনো তুলনামূলক দুর্বল, এবং final seeker performance এখনো western standard-এ পৌঁছায়নি।

যেখানে AMRAAM তার NEZ-এ ঢুকে গেলে kill probability প্রায় ৯০%-এর কাছাকাছি, Astra Mk1-এর ক্ষেত্রে সেটি এখনো ৭০% এর নিচে।

TACTICAL SNAPSHOT: কে কোথায় দাঁড়িয়ে

একটি বাস্তবসম্মত পরিস্থিতিতে F-16 হয়তো ৮৫ কিমি দূর থেকে প্রথম AMRAAM ছুঁড়বে। Su-30 তখনো Astra ছুঁড়তে পারবে না, কারণ তার radar lock হতে বেশি সময় লাগে। যখন Su-30 Astra launch করবে, তখন সে missile-avoidance maneuver-এ ব্যস্ত – তার Astra হয়তো সফলভাবে mid-course guidance পাবে না।

এভাবেই প্রথম move আর ছোট RCS advantage দিয়ে F-16 বড় যুদ্ধজয় করে নিতে পারে – শুধু BVR ফেইজে।

তবে ভারত কি পিছিয়ে আছে? একেবারেই না।

ভারতের EW এবং AWACS এখন অনেক উন্নত, তাদের tactics refined, আর Astra Mk2 ও উন্নত Uttam AESA radar আসার পর ভারসাম্য আরও বদলে যাবে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় – শুধু BVR ব্যবস্থায় – F-16 Block 52 এখনও একটু এগিয়ে।

Scroll to Top